নিজস্ব প্রতিবেদনঃ সামাজিক দূরত্ব শিকেয় তুলে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী করলেন ভোগালি ২ এর পঞ্চায়েত প্রধান মোদাচ্ছের হোসেন। শনিবার সকালে পঞ্চায়েত প্রধানের উদ্যেগে বৃক্ষরোপন কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। প্রধান ও তাঁর দলীয় সমর্থকদের নিয়ে বৃক্ষরোপন কর্মসূচী শুরু করেন। কিন্ত দেখা যায় সেখানে কোন সামাজিক দুরত্বের বালাই নেই, নেই অনেকের মুখে মাস্ক। দেশ তথা রাজ্যে জুড়ে যখন মহামারীর আতঙ্ক ছরিয়ে পরেছে সেই সন্ধিক্ষনে দাঁড়িয়ে সমস্ত বিধি নিষেধ উপেক্ষা করেই কয়েকশো দলীয় কর্মী সমর্থক নিয়ে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি করলেন ভোগালি ২ এর পঞ্চায়েত প্রধান মোদাচ্ছের হোসেন।
শুধু তাই নয় এই দিনে বৃক্ষরোপন কর্মসূচিতে এসে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়ে যান কাশীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক প্রদীপ পাল সরেজমিনে এসে এমন পরিস্থিতি দেখার পর তিনি তড়িঘড়ি সকলকে মাস্ক পড়তে অনুরোধ করেন। উল্লেখ্যে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ভোগালি ২ এর পঞ্চায়েত প্রধান মোদাচ্ছের হোসেন জানান আমাদের এখানে করোনা ভাইরাসের অস্তিস্ত্ব নেই, তাই আমি মাস্ক পড়িনা, তবে পুলিশের ভয়ে মাস্ক পড়তে হয়। এদিন এমনই বেফাঁস মন্তব্যে করতে দেখা যায় তাঁকে। গোটা রাজ্যজুড়ে প্রতিদিন লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, সেই তালিকা থেকে বাদ যায়নি ভাঙড়। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কিভাবে তিনি এমন ধরনের কর্মসূচি আয়োজন করলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে। সামাজিক বিধি নিষেধের তোয়াক্কা না করে কয়েকশো মানুষকে নিয়ে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি করাটা কি সমিচীন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
করোনা আতঙ্কে গোটা দেশ থরহরি কম্প। লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণের মাত্রা। তাতেও ভ্রক্ষেপ নেই ভাঙড়ের নেতাদের। একের পর এক দলীয় সভা থেকে শুরু করে জমায়েত যেন নিত্যসঙ্গী করে ফেলেছেন ভাঙড়ের নেতারা। এদিন বৃক্ষরোপন কর্মসুচীর কারনে ভাঙড় এর মেনরোড কিছুক্ষন অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে জমায়েতের কারনে। বাইক র্যালি করে মহাসমারোহে সকাল থেকেই প্রধানের এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে দেখা যায় তৃনমূলের কর্মী সমর্থকদের। করোনা সংক্রমণের আতঙ্ক ও সামাজিক বিধিকে শিকেয় তুলে বেশ খোশমেজাজেই শোভাযাত্রা দেখতে মত্ত ছিলেন উপস্থিত দলীয় সমর্থকরা। সামাজিক বিধি নিষেধকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে কিভাবে এই কর্মসুচি অনুষ্ঠিত হল তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর সমালোচনা।
Discussion about this post